নমুনা ১
হাবিব সোমবার সকালে ঢাকায় এসে পৌঁছাল। সে রবিবার রাতের ট্রেনে তার বড়ো বোনের সাথে রাজশাহী থেকে রওনা দিয়েছিল। এই প্রথম সে ঢাকায় এসেছে। কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে বোনের বাসায় যাওয়ার পথে ফ্লাইওভার দেখে হাবিব অবাক হয়ে গেল। এটাকে তার মনে হলো দোতলা রাস্তা। বোনের বাসার কাছে রাস্তার পাশে একটি ফুলের দোকান। সেখানে রজনীগন্ধা, গোলাপ, গাঁদা-সহ নানা রকম ফুল থরে থরে সাজানো রয়েছে। তার ঠিক পাশেই একটা ফলের দোকান। সেখান থেকে বড়ো বোন কিছু পেয়ারা কিনল। ঘরে ঢোকার পর পরিবারের সবার সাথে কুশল বিনিময় হলো। টেবিলে নাশতা দেওয়া ছিল। হাত-মুখ ধুয়ে সে নাশতা করতে বসল। সেদিন ছিল বাংলাদেশ দলের ক্রিকেট খেলা। তাই খাওয়া শেষ করেই টেলিভিশনের সামনে গিয়ে বসল। ভ্রমণের কারণে হাবিবের কিছুটা ক্লান্তি ছিল, তবে সব মিলিয়ে তার খুব আনন্দ হচ্ছিল।
উপরের নমুনা থেকে নাম বোঝায় এমন শব্দ খুঁজে বের করো এবং নিচের খালি জায়গায় লেখো।
………………. …………………….. ………………
………………… …………………… ………………
………………… ………………… ………………..
লেখা শেষ হলে তোমার বন্ধুদের সাথে মিলিয়ে নাও। তাদের সাথে উত্তরের পার্থক্য হলে তা নিয়ে আলোচনা করো।
বিশেষ্য
বাক্যে যেসব শব্দ দিয়ে কোনো নাম বোঝায় সেগুলোকে বিশেষ্য বলে। অনেক রকম বিশেষা রয়েছে,
যেমন-
মানুষ, জায়গা ইত্যাদির নাম: রাসেল, ঢাকা, গীতাঞ্জলি।
কোনো জিনিসের নাম: ইট, চেয়ার, বই।
একত্রে থাকা বোঝায় এমন নাম: জনতা, বাহিনী, মিছিল।
একই জাতের কাউকে বা কোনোটিকে বোঝায় এমন নাম: শিক্ষক, নদী, গাছ।
কোনো কাজের নাম: ভোজন, শয়ন, পড়ানো।
কোনো গুণের নাম: সরলতা, মাধুর্থ, দয়া।
পাঠ থেকে বিশেষ্য খুঁজি
“চিঠি বিলি' ছড়া ও 'সুখী মানুষ' নাটক থেকে বিশেষ্য শব্দ খুঁজে বের করে তার একটি তালিকা তৈরি করো।
বিশেষ্য শব্দ | |
---|---|
'চিঠি বিলি' থেকে পাওয়া
| |
'সুখী মানুষ' থেকে পাওয়া
|
অনুচ্ছেদ লিখে বিশেষ্য খুঁজি
কোনো একটি বিষয় নিয়ে ১০০ শব্দের মধ্যে একটি অনুচ্ছেদ লেখো। লেখা হয়ে গেলে বিশেষ্য শব্দগুলোর নিচে দাগ দাও।
নমুনা ২
পারুল ফোন করে জানাল, তার প্রিয় একটা বই হারিয়ে গেছে। সেটি টেবিলের উপরে রাখা ছিল। শাহেদ সেখান থেকে বইটা নিয়েছে বলে তার সন্দেহ হয়। তবে ঠিক কে নিয়েছে, পারুল সে ব্যাপারে নিশ্চিত নয়। সন্দেহের তালিকায় মিনু আর চিনুর নামও আছে। পারুলের ধারণা, ওরাও বইটা নিতে পারে।
সব শুনে আমি বললাম, কোনো ব্যাপারে নিশ্চিত না হয়ে কাউকে দোষ দেওয়া ঠিক নয়। যে নিয়েছে, সে হয়তো পড়ার জন্যই নিয়েছে। কয়েক দিন অপেক্ষা করে দেখো, বইটা পাওয়া যায় কি না।
কিছু দিন পরে পারুল নিজেই জানাল, বইটা পাওয়া গেছে। পারুলের বাবা বইটা বুকশেলফে তুলে রেখেছিলেন।তিনি বুঝতেও পারেননি, এক বই নিয়ে এত ঘটনা ঘটে যাবে। আর পারুলও না বুঝে অন্যদের দোষ দিচ্ছিল!
উপরের নমুনা থেকে বিশেষ্যের পরিবর্তে ব্যবহার করা হয়েছে এমন শব্দ খুঁজে বের করো এবং নিচের খালি জায়গায় লেখো।
…………………….. ………………….. …………………
………………………….. ………………… ………………
…………………….. …………………. ………………..
লেখা শেষ হলে তোমার বন্ধুদের সাথে মিলিয়ে নাও। তাদের সাথে উত্তরের পার্থক্য হলে তা নিয়ে আলোচনা করো।
সর্বনাম
বিশেষ্যের পরিবর্তে ব্যবহৃত নন্দকে সর্বনাম বলে। বাক্যের মধ্যে বিশেষ্য যে ভূমিকা পালন করে, সর্বনাম অনুরূপ ভূমিকা পালন করে। যেমন: শিমুল মনোযোগের সঙ্গে পড়াশোনা করত। তাই সে পরীক্ষায় ভালো করেছে। দ্বিতীয় বাক্যের 'সে' প্রথম বাক্যের 'শিমুল'-এর পরিবর্তে বসেছে।
পাঠ থেকে সর্বনাম খুঁজি
" চিঠি বিলি' ছড়া ও 'সুখী মানুষ' নাটক থেকে সর্বনাম শব্দ খুঁজে বের করে তার একটি তালিকা তৈরি করো।
সর্বনাম শব্দ
| |
---|---|
'চিঠি বিলি' থেকে পাওয়া
| |
'সুখী মানুষ' থেকে পাওয়া
|
অনুচ্ছেদ লিখে সর্বনাম খুঁজি
কোনো একটি বিষয় নিয়ে ১০০ শব্দের মধ্যে একটি অনুচ্ছেদ লেখো। লেখা হয়ে গেলে সর্বনাম শব্দগুলোর নিচে দাগ দাও।
নমুনা ৩
নীল-সাদা স্কুলজামা পরে কয়েকটি মেয়ে স্কুল থেকে ফিরছিল। মেঠো পথের দুপাশে সবুজ ধানখেত। হ সামনের মেয়েটি থমকে দাঁড়াল। বলল, 'দ্যাখ দ্যাখ, কী সুন্দর একটা পাখি উড়ে যাচ্ছে।"
পাশের মেয়েটি উপরে তাকিয়ে কোনো পাখি দেখতে পেল না। নীল আকাশের দিকে তাকিয়ে সে শুধু সাদা মেঘ ভেসে যেতে দেখল। অন্যরাও সেই পাখিটা খুঁজতে লাগল। কিন্তু ততক্ষণে উড়ন্ত পাখিটা চোখের আড়াল হয়ে গেছে।
ধানখেত পার হতেই একটা বড়ো পুকুর। সেখানকার পানি টলটলে। পুকুরের ধারে একটা বড়ো আমগাছ। সেই আমগাছের দিকে তাকিয়ে একটি মেয়ে বলল, আমার মনে হচ্ছে, এবার অনেক আম ধরবে।' সবাই তাকিয়ে দেখল, আমগাছে প্রচুর মুকুল এসেছে। সাদা মুকুলে আমগাছের সবুজ পাতা ঢাকা পড়েছে।
গাছের নিচে একজন বয়স্ক লোক পুরানো চেয়ারে বসে ছিলেন। তাঁর বয়স কম-বেশি সত্তর বছর। তিনি ওদের কথা শুনে বললেন, 'ও ঠিকই বলেছে। যে বছর ধান ভালো হয়, সে বছর আমের ফলনও ভালো হয়।
কিছু শব্দ বিশেষ্য ও সর্বনামের গুণ, দোষ, সংখ্যা, পরিমাণ, অবস্থা ইত্যাদি বোঝায়। উপরের নমুনা থেকে এ ধরনের শব্দ খুঁজে বের করো এবং নিচের খালি জায়গায় লেখো।
……………………….. ……………………… …………………….
…………………………… ………………………… ……………….
………………………… …………………….. ………………………
লেখা শেষ হলে তোমার বন্ধুদের সাথে মিলিয়ে নাও। তাদের সাথে উত্তরের পার্থক্য হলে তা নিয়ে আলোচনা করো।
বিশেষণ
যে শব্দ দিয়ে বিশেষ্য ও সর্বনামের গুণ, দোষ, সংখ্যা, পরিমাণ, অবস্থা বোঝায়, তাকে বিশেষণ শব্দ বলে। যেমন: লাল ফুল, ভালো কথা, দশ টাকা, লক্ষ জনতা, টাটকা সবজি। এখানে দাগ দেওয়া শব্দগুলো বিশেষণ।
পাঠ থেকে বিশেষণ খুঁজি
'চিঠি বিলি' ছড়া ও 'সুখী মানুষ' নাটক থেকে বিশেষণ শব্দ খুঁজে বের করে তার একটি তালিকা তৈরি করো।
বিশেষণ শব্দ | |
---|---|
'চিঠি বিলি' থেকে পাওয়া
| |
'সুখী মানুষ' থেকে পাওয়া
|
অনুচ্ছেদ লিখে বিশেষণ খুঁজি
কোনো একটি বিষয় নিয়ে ১০০ শব্দের মধ্যে একটি অনুচ্ছেদ লেখো। লেখা হয়ে গেলে বিশেষণ শব্দগুলোর নিচে দাগ দাও।
নমুনা ৪
সবাই যখন খেলে, রিনার ভাই রাজীব তখন পড়তে বসে। আবার সবাই যখন পড়তে বসে, রাজীব তখন ঘুমায়। আর সবাই যখন ঘুমিয়ে পড়ে, রাজীব তখন খেলে। আজকাল কী যে করছে ছেলেটা। বয়স সবে চার বছর পূর্ণ হলো। সবকিছুতেই তার এলোমেলো আচরণ। বাবা একদিন কথায় কথায় মাকে বললেন, 'আচ্ছা, ছেলেটার সব কাজ এমন এলোমেলো হচ্ছে কেন?' মা হেসে বললেন, 'কোথায়! সব কাজ তো এলোমেলো হচ্ছে না। এই যেমন, আমি খাইয়ে দিলে রাজীব সময়মতো খায়।' মার কথা শুনে বাবা হাসলেন। বললেন, 'আরেকটু বড়ো হলে কী করবে, সেটাই দেখার বিষয়।' মা বললেন, 'বড়ো হলে সব বুঝতে শিখবে। তখন সময়মতো পড়বে, ঘুমাবে, আর খেলবে।
উপরের অনুচ্ছেদ থেকে কাজ করা বোঝায় এমন শব্দ খুঁজে বের করো এবং নিচের খালি জায়গায় লেখো।
………………………………. ………………………….. ……………………
………………………………… …………………………. ……………………
…………………………… …………………….. ……………………………
লেখা শেষ হলে তোমার বন্ধুদের সাথে মিলিয়ে নাও। তাদের সাথে উত্তরের পার্থক্য হলে তা নিয়ে আলোচনা করো।
ক্রিয়া
যেসব শব্দ দিয়ে করা বা হওয়া বোঝায়, সেগুলোকে ক্রিয়া বলে। যেমন: সুমি খেলছে। সূর্য ডুবে গিয়েছে। এখানে দাগ দেওয়া শব্দগুলো ক্রিয়া।
পাঠ থেকে ক্রিয়া খুঁজি
'চিঠি বিলি' ছড়া ও 'সুখী মানুষ' নাটক থেকে ক্রিয়া শব্দ খুঁজে বের করে তার একটি তালিকা তৈরি করো।
ক্রিয়া শব্দ | |
---|---|
'চিঠি বিলি' থেকে পাওয়া
| |
'সুখী মানুষ' থেকে পাওয়া
|
অনুচ্ছেদ লিখে ক্রিয়া খুঁজি
কোনো একটি বিষয় নিয়ে ১০০ শব্দের মধ্যে একটি অনুচ্ছেদ লেখো। লেখা হয়ে গেলে ক্রিয়া শব্দগুলোর নিচে দাগ দাও।
নমুনা ৫
তুমি জোরে দৌড়াও, আমি ধীরে হাঁটি।
তুমি সামনে যাও, আমি পিছনে থাকি।
তুমি থামবে না, আমিও দাঁড়াব না।
তুমি ঠিকঠাক যাও, আমি চুপচাপ দেখি।
তোমাকে কানে কানে বলি, আমি ভয়ে ভয়ে আছি।
কিছু শব্দ দিয়ে ক্রিয়ার গতি, সময় ইত্যাদি বোঝায়। উপরের অনুচ্ছেদ থেকে এ ধরনের শব্দ খুঁজে বের করো এবং নিচের খালি জায়গায় লেখো।
…………………………….. …………………….. …………………….
………………………………. ………………………… …………………
……………………………… ……………………. ………………………
লেখা শেষ হলে তোমার বন্ধুদের সাথে মিলিয়ে নাও। তাদের সাথে উত্তরের পার্থক্য হলে তা নিয়ে আলোচনা করো।
ক্রিয়া বিশেষণ
যে শব্দ দিয়ে ক্রিয়ার গতি, সময় ইত্যাদি বোঝায়, সেগুলোকে ক্রিয়াবিশেষণ বলে। যেমন: ছেলেটি তাড়াতাড়ি হাঁটে। লোকটি সামনে এগিয়ে গেল। মেয়েরা এখান থেকে যাবে না। এখানে দাগ দেওয়া শব্দগুলো ক্রিয়াবিশেষণ।
পাঠ থেকে ক্রিয়াবিশেষণ খুঁজি
“চিঠি বিলি' ছড়া ও ‘সুখী মানুষ' নাটক থেকে ক্রিয়াবিশেষণ শব্দ খুঁজে বের করে তার একটি তালিকা তৈরি করো।
ক্রিয়াবিশেষণ শব্দ | |
---|---|
'চিঠি বিলি' থেকে পাওয়া
| |
'সুখী মানুষ' থেকে পাওয়া
|
অনুচ্ছেদ লিখে ক্রিয়াবিশেষণ খুঁজি
কোনো একটি বিষয় নিয়ে ১০০ শব্দের মধ্যে একটি অনুচ্ছেদ লেখো। লেখা হয়ে গেলে ক্রিয়াবিশেষণ শব্দগুলোর নিচে দাগ দাও।
নমুনা ৬
তিশার দাদির কাছে একটা পুরাতন সিন্দুক আছে। সেই সিন্দুক সবসময়ে তালা দিয়ে আটকানো থাকে। সিন্দুকের চাবি গেছে হারিয়ে; তাই বহুদিন ধরে ওটা খোলা হয় না। তিশা ওর দাদিকে গিয়ে বলল, 'দাদি, এই সিন্দুকের ভেতরে কী আছে?'
দাদি অবাক চোখে তিশার দিকে তাকালেন। তারপর তিশাকে পাশে বসালেন। বললেন, ‘এর মধ্যে আমার শাশুড়ির, আমার, আর তোমার মার অনেক গয়না আছে। চাবি দিয়ে তালা খোলার পর সব দেখতে পাবে।' এই বলে তিনি বাজার থেকে চাবি বানানোর লোক আনালেন। তিশার জন্য সিন্দুক খোলা হলো।
কিছু শব্দ অন্য শব্দের পরে বসে শব্দটিকে বাক্যের সঙ্গে সম্পর্কিত করে। উপরের অনুচ্ছেদ থেকে এ ধরনের শব্দ খুঁজে বের করো এবং নিচের খালি জায়গায় লেখো।
…………………………… …………………………. …………………..
……………………………… …………………………… …………………
……………………….. ………………………… ………………………..
লেখা শেষ হলে তোমার বন্ধুদের সাথে মিলিয়ে নাও। তাদের সাথে উত্তরের পার্থক্য হলে তা নিয়ে আলোচনা করো।
অনুসর্গ
যেসব শব্দ কোনো শব্দের পরে বসিয়ে নদটিকে বাকোর সঙ্গে সম্পর্কিত করা হয়, সেসব শব্দকে অনুসর্গ বলে। যেমন: মাথার উপরে নীল আকাশ। সে ঢাকা থেকে বরিশালে গেল। এখানে দাগ দেওয়া শব্দগুলো অনুসর্গ।
পাঠ থেকে অনুসর্গ খুঁজি
'চিঠি বিলি' ছড়া ও 'সুখী মানুষ' নাটক থেকে অনুসর্গ শব্দ খুঁজে বের করে তার একটি তালিকা তৈরি করো।
অনুসর্গ শব্দ | |
---|---|
'চিঠি বিলি' থেকে পাওয়া
| |
"সুখী মানুষ' থেকে পাওয়া
|
অনুচ্ছেদ লিখে অনুসর্গ খুঁজি
কোনো একটি বিষয় নিয়ে ২০০ শব্দের মধ্যে একটি অনুচ্ছেদ লেখো। লেখা হয়ে গেলে অনুসর্গ শব্দগুলোর নিচে দাগ দাও।
নমুনা ৭
পলাশের নানা ও নানি একইদিনে মারা যান। নানার কঠিন অসুখ হয়েছিল এবং এই অসুখে তিনি কয়েক বছর ভুগেছিলেন। নানা মারা যাওয়ার কয়েক ঘন্টা পর পলাশের নানির হার্ট-আটাক হয়। তাঁকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল; কিন্তু বাঁচানো যায়নি। তারপর থেকে বেশ কয়েকদিন পলাশের মন খুব খারাপ ছিল; তাই তখন সে কারও সাথে কথা বলত না। পলাশ একসময়ে বুঝতে পারে, মানুষের বার্ধক্য আর মৃত্যুকে ঠেকানো যায় না। তবু প্রতিটি মৃত্যু মানুষকে কষ্ট দেয়। পলাশদের বাড়িতে যখন নানা বা নানি বেড়াতে আসতেন, তখন পলাশের খুব ভালো লাগত। কারণ, তাঁরা পলাশকে খুব আদর করতেন। তাছাড়া তাঁরা পলাশের সঙ্গে অনেক মজার মজার গল্পও করতেন।
উপরের অনুচ্ছেদ থেকে এমন শব্দ খুঁজে বের করো যেগুলো শব্দ বা বাক্যকে যুক্ত করেছে। বের করা শব্দগুলো নিচের খালি জায়গায় লেখো।
……………………………….. …………………………. ……………………
…………………………… ………………………… ………………………
…………………………………. ………………………. ……………………
লেখা শেষ হলে তোমার বন্ধুদের সাথে মিলিয়ে নাও। তাদের সাথে উত্তরের পার্থক্য হলে তা নিয়ে আলোচনা করো।
যোজক
শব্দ বা বাক্যকে যুক্ত করে যেসব শব্দ, সেগুলোকে যোজক বলে। যেমন: এবং, ও, আর, অথবা, তবু, সুতরাং, কারণ, তবে ইত্যাদি।
পাঠ থেকে যোজক খুঁজি
“চিঠি বিলি' ছড়া ও ‘সুখী মানুষ' নাটক থেকে যোজক শব্দ খুঁজে বের করে তার একটি তালিকা তৈরি করো
যোজক শব্দ | |
---|---|
'চিঠি বিলি' থেকে পাওয়া
| |
'সুখী মানুষ' থেকে পাওয়া
|
অনুচ্ছেদ লিখে যোজক খুঁজি
কোনো একটি বিষয় নিয়ে ১০০ শব্দের মধ্যে একটি অনুচ্ছেদ লেখো। লেখা হয়ে গেলে যোজক শব্দগুলোর নিচে দাগ দাও ।
নমুনা ৮
শেষ বলে ছয় মেরে বাংলাদেশ জিতে গেল। আমি বললাম, আহ্! কী চমৎকার খেলাই না দেখলাম।"
ছোটো বোন চিৎকার দিয়ে উঠল, দারুণ! আমরা জিতে গেছি।' এর চোখে-মুখে খুশির ঝিলিক।
মা বললেন, “বাহ্, এমন খেলা বহুদিন দেখিনি। ছেলেরা ভালোই খেলেছে।'
বাবা বললেন, ‘শাবাশ! এই না হলে বাঘের বাচ্চা!’
"আহা! যারা হেরে গেল, ওদের মনে অনেক কষ্ট। তাই না?” ছোটো বোন একটা ফোড়ন কাটল।
বাবা হাসলেন। বললেন, 'দূর। এতে কষ্টের কী আছে? এটা তো একটা খেলা। খেলায় হারজিত থাকতেই পারে।
মা জানালা দিয়ে বাইরে তাকিয়ে বললেন, 'আরে! এর মধ্যেই দেখি বিজয় মিছিল শুরু হয়ে গেছে।'
বোন সেদিকে তাকিয়ে বলল, 'বাপরে বাপ! কত বড়ো মিছিল!"
মনের আবেগে হঠাৎ করে কিছু শব্দ আমরা উচ্চারণ করে থাকি। উপরের অনুচ্ছেদ থেকে এ ধরনের শব্দ খুঁজে বের করো এবং নিচের খালি জায়গায় লেখো।
………………………………… ……………………………. …………………………
………………………………… ……………………………… …………………………
……………………………….. …………………………….. …………………………
লেখা শেষ হলে তোমার বন্ধুদের সাথে মিলিয়ে নাও। তাদের সাথে উত্তরের পার্থক্য হলে তা নিয়ে আলোচনা করো।
আবেগ
মনের নানা ভাব বা আবেগকে প্রকাশ করা হয় যেসব শব্দ দিয়ে সেগুলোকে আবেগ শব্দ বলে। এই ধরনের শব্দ। বাক্যের অন্য শব্দগুলো থেকে খানিকটা আলগাভাবে বা স্বাধীনভাবে ব্যবহৃত হয়। যেমন: ছি ছি, আহা, বাহ, শাবাশ, হায় হায় ইত্যাদি।
পাঠ থেকে আবেগ পুঁজি
“চিঠি বিলি' ছড়া ও 'সুখী মানুষ' নাটক থেকে আবেগ শব্দ খোঁজ করো। পাওয়া গেলে তার একটি তালিকা তৈরি করো।
আবেগ শব্দ | |
---|---|
'চিঠি বিলি' থেকে পাওয়া
| |
'সুখী মানুষ' থেকে পাওয়া
|
অনুচ্ছেদ লিখে আবেগ খুঁজি
কোনো একটি বিষয় নিয়ে ১০০ শব্দের মধ্যে একটি অনুচ্ছেদ লেখো। লেখা হয়ে গেলে আবেগ শব্দগুলোর নিচে দাগ দাও।
অর্থ ও অর্থান্তর
একটি শব্দের অনেক রকম অর্থ থাকতে পারে। বাক্যে প্রয়োগের ওপর শব্দের অর্থ নির্ভর করে। নিচের ছড়াটি পড়ো। এটি সুকুমার রায়ের লেখা। তিনি একজন বিখ্যাত ছড়াকার। তাঁর সবচেয়ে বিখ্যাত ছড়ার বইয়ের নাম 'আবোল তাবোল'। নিচের ছড়াটি সুকুমার রায়ের 'খাই খাই' নামের ছড়ার বই থেকে নেওয়া হয়েছে। ছড়াটি পড়ার সময়ে 'পাকা' শব্দটি কত অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে খেয়াল করো।
সুকুমার রায়
আম পাকে বৈশাখে কুল পাকে ফাগুনে,
কাঁচা ইট পাকা হয় পোড়ালে তা আগুনে।
রোনে জলে টিঁকে রং, পাকা কই তাহারে;
ফলারটি পাকা হয় লুচি দুই আহারে।
হাত পাকে লিখে লিখে, চুল পাকে বয়সে,
জ্যাঠামিতে পাকা ছেলে বেশি কথা কয় সে।
লোকে কয় কাঁঠাল সে পাকে নাকি কিলিয়ে?
বুদ্ধি পাকিয়ে তোলে লেখাপড়া গিলিয়ে
কান পাকে ফোড়া পাকে, পেকে করে টনটন-
কথা যার পাকা নয়, কাজে তার ঠনঠন।
রাঁধুনি বসিয়া পাকে পাক দেয় হাঁড়িতে,
সজোরে পাকালে চোখ ছেলে কাঁদে বাড়িতে।
পাকায়ে পাকায়ে দড়ি টান হয়ে থাকে সে।
দুহাতে পাকালে গোঁফ তবু নাহি পাকে সে।।
শব্দের অর্থ
আহারঃ ভোজন।
ফলারঃ ভাত ছাড়া নিরামিষ খাবার।
কিলানোঃ খিল বা গোঁজা ঢুকানো।
ফাগুনঃ ফাল্গুন।
কুলঃ ফলের নাম।
ফোড়াঃ চামড়ার নিচে ফুলে ওঠা যা।
গোঁফঃ নাকের নিচে গজানো লোম।
রাঁধুনিঃ যে রান্না করে।
জ্যাঠামিঃ অল্প বয়সে বেশি বয়সের মতো আচরণ।
লুচিঃ ভিতরে ফাঁপা ছোটো পরোটা।
সজোরেঃ খুব জোরে।
উপরের কবিতায় 'পাকা' শব্দ কত ভিন্ন অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে তার তালিকা করো।
বাক্যে প্রয়োগ | 'পাকা' শব্দের অর্থ |
---|---|
আম পাকে বৈশাখে কুল পাকে ফাগুনে | |
কাঁচা ইট পাকা হয় পোড়ালে তা আগুনে | |
রোদে জলে টিকে রং, পাকা কই তাহারে | |
ফলারটি পাকা হয় লুচি দই আহারে | |
হাত পাকে লিখে লিখে | |
চুল পাকে বয়সে | |
জ্যাঠামিতে পাকা ছেলে বেশি কথা কয় সে | |
কাঁঠাল সে পাকে নাকি কিলিয়ে | |
বুদ্ধি পাকিয়ে তোলে লেখাপড়া গিলিয়ে। | |
কান পাকে কোড়া পাকে | |
কথা যার পাকা নয় কাজে তার ঠনঠন | |
রাঁধুনি বসিয়া পাকে পাক দেয় হাঁড়িতে | |
সজোরে পাকালে চোখ ছেলে কাঁদে | |
পাকায়ে পাকায়ে দড়ি টান হয়ে থাকে সে | |
দুহাতে পাকালে গোঁফ তবু নাহি থাকে সে |
মুখ্য অর্থ ও গৌণ অর্থ
একটি শব্দ শোনার সাথে সাথে মনে যে ছবি বা ধারণা জেগে ওঠে, সেটাকে ওই শব্দের মুখ্য অর্থ বলে। যেমন, 'মাথা' শব্দটি শোনার সঙ্গে সঙ্গে শরীরের উপরের যে অংশের ছবি মনে ভেসে ওঠে, সেটাই মাথা শব্দের মুখ্য
কোনো শব্দের মুখ্য অর্থের পাশাপাশি এক বা একাধিক গৌণ অর্থ থাকতে পারে। যেমন, 'মেয়েটির মাথা ভালো' বললে মেধা বা বুদ্ধিকে বোঝায়। আবার যদি বলা হয় 'রাস্তার মাথায় যাও", তবে মাথা বলতে রাস্তার শেষ প্রান্তকে বোঝায়।
নিচে কয়েকটি শব্দের মুখ্য অর্থ ও একাধিক গৌণ অর্থের প্রয়োগ দেখানো হলো।
কথা | মূখ্য অর্থ | মুখের ভাষা | তাঁর কথা শুনতে ভালো লাগে |
---|---|---|---|
গৌণ অর্থ ১ | প্রস্তাব | তোমার কথা আমি মানতে রাজি | |
গৌণ অর্থ ২ | তিরস্কার | ওর জন্য আমাকে কথা শুনতে হলো | |
কাজ | মূখ্য অর্থ | কর্ম | ভালো কাজের জন্য ভালো পুরস্কার আছে |
গৌণ অর্থ ১ | কর্তব্য | তোমার কাজ পড়াশোনা করা | |
গৌণ অর্থ ২ | সমাধান | ওর কাছে গেলে কাজ হবে | |
পাগল | মূখ্য অর্থ | মানসিক রোগী | পাগল হয়ে সে এখন পথে পথে ঘুরছে |
গৌণ অর্থ ১ | মুগ্ধ | ভাটিয়ালি গানের পাগল করা সুরে মন ভরে যায় | |
গৌণ অর্থ ২ | অনুরাগী | তিনি কাজ পাগল মানুষ | |
বড়ো | মূখ্য অর্থ | বৃহৎ | বড়ো আমগাছটার নিচে তাকে দেখতে পাবে |
গৌণ অর্থ ১ | বেশি বয়সের | ওর কথা বলছ? ও আমার বড়ো ভাই | |
গৌণ অর্থ ২ | উদার | তিনি অনেক বড়ো মনের মানুষ | |
মুখ | মূখ্য অর্থ | মুখের গর্ত | দাদা মুখে পান পুরে কথা বলা শুরু করলেন |
গৌণ অর্থ ১ | মুখমণ্ডল | (সে মুখে পাউডার দিচ্ছে | |
গৌণ অর্থ ২ | প্রবেশ পথ | গলির মুখে রিকশাটা দাঁড়াল | |
শেষ | মূখ্য অর্থ | সমাপ্ত | কাজটি গতকাল শেষ করেছি |
গৌণ অর্থ ১ | ধ্বংস | আগুনে পুড়ে বাড়িটি শেষ হয়ে গেল | |
গৌণ অর্থ ২ | প্রান্ত | পথের শেষে চেয়ারম্যান সাহেবের বাড়ি |
অর্থ বুঝে বাক্য লিখি
নিচের শব্দগুলো ব্যবহার করে মুখ্য অর্থ এবং এক বা একাধিক গৌণ অর্থের প্রয়োগ দেখাও।
১. মাথাঃ মুখ্য অর্থ গৌণ অর্থ ১ গৌণ অর্থ ২ |
২. হাতঃ মুখ্য অর্থ গৌণ অর্থ ১ গৌণ অর্থ ২ |
৩. কাঁচাঃ মুখ্য অর্থ গৌণ অর্থ ১ গৌণ অর্থ ২ |
৪. কাটাঃ মুখ্য অর্থ গৌণ অর্থ ১ গৌণ অর্থ ২ |
৫. চোখঃ মুখ্য অর্থ গৌণ অর্থ ১ গৌণ অর্থ ২ |
৬. কানঃ মুখ্য অর্থ গৌণ অর্থ ১ গৌণ অর্থ ২ |
অন্যের বাক্যের সঙ্গে তোমার বাক্যগুলো মিলিয়ে দেখো।
প্রতিশব্দ
রাত | কবুতর | আনন্দ |
আকাশ | চোখ | ললাট |
হাওয়া | ভাগ্য | ঘর |
কপোত | কপাল | আসমান |
ভবন | পায়রা | ভাগ্য |
বায়ু | খবর | নয়ন |
উপরের ছক থেকে একই রকম অর্থ প্রকাশ করে এমন শব্দগুলো আলাদা করো। একটি করে দেখানো হলো।
রাত | রাত্রি | রজনি |
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
প্রতিশব্দ শিখি
একটা শব্দকে অন্য শব্দ দিয়েও প্রকাশ করা যায়। যেমন, 'আকাশ' না বলে 'আসমান' বা 'গগন' বলা যায়। যেসব শব্দের অর্থ অনুরূপ বা প্রায় সমান, সেসব শব্দকে প্রতিশব্দ বলে। নিচে কিছু শব্দের প্রতিশব্দ দেওয়া হলো।
অনেকঃ বেশি, বহু, প্রচুর, অধিক, অত্যন্ত।
আগুনঃ অগ্নি, অনল, বহি
কন্যাঃ মেয়ে, দুহিতা, ঝি।
তৈরিঃ গঠন, নির্মাণ, গড়া, বানানো, প্রস্তুত।
নারীঃ মানবী, মহিলা, স্ত্রীলোক।
দেহঃ শরীর, গা, গাত্র, তনু, অঙ্গ।
পর্বতঃ পাহাড়, আদ্রি, গিরি।
পানিঃ জল, সলিল, নীর, বারি।
পুত্রঃ ছেলে, দুলাল, কুমার।
পৃথিবীঃ জগৎ, ভুবন, দুনিয়া, বিশ্ব, ধরণি।
বনঃ অরণ্য, জঙ্গল, কানন, বনানী।
সমুদ্রঃ সাগর, সিন্ধু, পাথার।
সাপঃ সর্প, অহি, ফণী, নাগ, ভুজঙ্গা
সূর্যঃ রবি, তপন, অরুণ।
হাতঃ হস্ত, কর, বাহু, ভুজ।
প্রতিশব্দ বসিয়ে আবার লিখি
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ো। এরপর এখানকার অন্তত দশটি শব্দের বদল ঘটিয়ে অনুচ্ছেদটি নতুন করে লেখো।
আমার ছোটো মামা শহরে থাকেন। একদিন খবর পেলেন, রূপখালী গ্রামে লোকেরা একটা নতুন স্কুল ফুলবে। তাঁর ইচ্ছা হলো, তিনিও এই কাজের সাথে যোগ দেবেন। তাই এক অন্ধকার রাতে তিনি ব্যাগপত্র গুছিয়ে রওনা দিলেন। অনেক দূরের পথ। বাসে করেই তাঁকে রওনা দিতে হলো। বাস থেকে যখন নামলেন, তখন সকাল হয়ে গেছে। পূর্ব আকাশে সূর্য উঠেছে লাল রঙের। ছোটো মামার মনে হলো, এবার তিনি সত্যিই একটা ভালো কাজ করতে পারবেন।
বিপরীত শব্দ
দাগ দেওয়া শব্দগুলোর বিপরীত শব্দ বসিয়ে বাক্যগুলো আবার লেখো। প্রথমটি করে দেখানো হলো।
শব্দ | বাক্য |
---|---|
এই শহরে অনেক মানুষ থাকে | এই শহরে অল্প মানুষ থাকে |
বীথির বাড়ি দূরে | |
শুকনো খাবার আমার পছন্দ | |
আজ গরম পড়েছে | |
তিনি ঘুমিয়ে ছিলেন | |
এ জমি উর্বর | |
ভালো কাজ করব | |
তুমি যাও | |
ছেলেটি চালাক | |
কুকুর বিশ্বাসী প্রাণী |
লক্ষ করো, বিপরীত শব্দ বসানোর ফলে বাক্যগুলোর অর্থ বদলে গেছে।
বিপরীত শব্দ বুঝি
যেসব শব্দ পরস্পর বিপরীত অর্থ প্রকাশ করে, সেগুলোকে বিপরীত শব্দ বলে। যেমন, ধনী-গরিব, সৎ-অসৎ, বড়ো-ছোটো ইত্যাদি। নিচে কিছু শব্দ এবং তার বিপরীত শব্দের উদাহরণ দেওয়া হলো।
শব্দ | বিপরীত শব্দ | শব্দ | বিপরীত শব্দ |
---|---|---|---|
অল্প | বেশি | ভিতর | বাহির |
আপন | পর | ভিরু | সাহসী |
লাভ | ক্ষতি | সুন্দর | কুৎসিত |
সরব | নীরব | স্থির | চঞ্চল |
আয় | ব্যয় | হার | জিত |
উপস্থিত | অনুপস্থিত | জয় | পরাজয় |
খুচরা | পাইকারি | হালকা | ভারী |
খাঁটি | ভেজাল | হ্রাস | বৃদ্ধি |
বাক্যের অর্থ ঠিক রেখে বিপরীত শব্দ বসাই
এবার দাগ দেওয়া শব্দগুলোর বিপরীত শব্দ বসিয়ে বাক্যগুলো এমনভাবে লেখো যাতে বাক্যের অর্থ ঠিক থাকে। এজনা বাক্যের শেষে না, নি, নেই, নয় ইত্যাদি বসানোর দরকার হবে। প্রথমটি করে দেখানো হলো।
শব্দ | বাক্য |
---|---|
এই শহরে অনেক মানুষ থাকে | এই শহরে অল্প মানুষ থাকে না |
বীথির বাড়ি দূরে | |
শুকনো খাবার আমার পছন্দ | |
আজ গরম পড়েছে | |
তিনি ঘুমিয়ে ছিলেন | |
এ জমি উর্বর | |
ভালো কাজ করব | |
তুমি যাও | |
ছেলেটি চালাক | |
কুকুর বিশ্বাসী প্রাণী |
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ো। পড়তে গিয়ে কী ধরনের সমস্যা হচ্ছে খেয়াল করো। এ নিয়ে সহপাঠীদের সাথে আলোচনা করো।
জানি কথাটি শুনলে তোমাদের কারো বিশ্বাস হবে না সেই লেখক একদিন বিকালে আমাদের বাড়িতে এসে হাজির তাঁর হাতে অনেকগুলো নতুন বই আমি অবাক হয়ে বললাম আপনি কি আমাদের বাড়িতে এসেছেন তিনি আমার কথার জবাবে ছোটো করে বললেন হ্যাঁ আমি অনেকক্ষণ কোনো কথা বলতে পারছিলাম না শুধু তাঁর হাতের বইগুলোর দিকে তাকিয়ে ছিলাম একসময়ে বললাম কিন্তু কেন তা কি জানতে পারি তিনি বললেন বারে তুমি বই পড়তে ভালোবাসো তাই বই নিয়ে এসেছি
বুঝতে চেষ্টা করি
সহপাঠীদের সাথে আলোচনা করে নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর খুঁজে বের করো।
কথা বলার সময়ে কি আমরা একটানা কথা বলি? _________
একনাগাড়ে না বলে থেমে থেমে কথা বলি কেন?__________
সব কথা কি আমরা একই সুরে বলি?____________
লেখার সময়ে দাঁড়ি, কমা, প্রশ্নচিহ্ন ইত্যাদির প্রয়োজন হয় কেন?_____
দাঁড়ি, কমা, প্রশ্নচিহ্ন ইত্যাদি চিহ্ন কী নামে পরিচিত?______
দাঁড়ি, কমা, প্রশ্নচিহ্নের মতো আর কী কী চিহ্ন তুমি চেনো?________
যতিচিহ্ন
মুখের কথাকে লিখিত রূপ দেওয়ার সময়ে কম-বেশি থামা বোঝাতে যেসব চিহ্ন ব্যবহৃত হয়, সেগুলোকে যতিচিহ্ন বলে। বক্তব্যকে স্পষ্ট করতেও কিছু যতিচিহ্ন ব্যবহৃত হয়ে থাকে।
যতিচিহ্নের উদাহরণ: দাঁড়ি (1), কমা (,), সেমিকোলন (:), প্রশ্নচিহ্ন (?), বিস্ময়চিহ্ন (!) ইত্যাদি।
কোন যতিচিহ্নের কী কাজ
(১) দাঁড়ি (।)
দাঁড়ি বাক্যের সমাপ্তি বোঝায়।
যেমন: সে খেলার মাঠ থেকে বাড়ি ফিরল।
(২) কমা (,)
একটু বিরতি বোঝাতে কমা ব্যবহার করা হয়।
যেমন: আমার পছন্দের ফুল গোলাপ, বেলি, জুঁই আর হাসনাহেনা।
(৩) সেমিকোলন (:)
ঘনিষ্ঠভাবে সম্পর্ক আছে এমন দুটি বাক্যের মাঝখানে সেমিকোলনের ব্যবহার হয়।
যেমন: তিনি এলেন; তবে বেশিক্ষণ বসলেন না।
(৪) প্রশ্নচিহ্ন (?)
সাধারণত কোনো কিছু জিজ্ঞাসা করার ক্ষেত্রে প্রশ্নচিহ্ন বসে।
যেমন: সে কখন এসেছে?
(৫) বিস্ময়চিহ্ন (!)
বিভিন্ন আবেগ বোঝাতে বিস্ময়চিহ্ন বসে।
যেমন: বাহ্! তুমি তো চমৎকার ছবি আঁকো।
(৬) হাইফেন (-)
দুটি শব্দকে এক করতে অনেক সময় হাইফেন ব্যবহার করা হয়।
যেমন: ভালো-মন্দ নিয়েই মানুষের জীবন।
(৭) ড্যাশ (-)
এক বাক্যের ব্যাখ্যা পরের বাক্যে করা হলে দুই বাক্যের মাঝে ড্যাশ বসে।
যেমন: তিনিই ভালো রাজা-- যিনি প্রজাদের কথা সবসময়ে ভাবেন।
(৮) কোলন (:)
উদাহরণ উপস্থাপনের সময়ে কোলন বসে।
যেমন: যোগাযোগের দুটি রূপ: ভাষিক যোগাযোগ ও অভাষিক যোগাযোগ।
(৯) উদ্ধারচিহ্ন (' ')
কারো কথা সরাসরি দেখাতে উদ্ধারচিহ্ন বসে।
যেমন: শিক্ষক বললেন, 'তোমরা বড়ো হয়ে সিরাজউদ্দৌলা সম্পর্কে অনেক কিছু জানতে পারবে।"
কোথায় কোন যতিচিহ্ন বসে
উদাহরণ দেওয়ার সময়ে | |
এক বাক্যের ব্যাখ্যা পরের বাক্যে করা হলে দুই বাক্যের মাঝে | |
কারো কথা সরাসরি বোঝাতে | |
কোনো বাক্যে যখন কিছু জিজ্ঞাসা করা হয়। | |
ঘনিষ্ঠভাবে সম্পর্ক আছে এমন দুটি বাক্যের মাঝখানে | |
দুটি শব্দকে এক করতে | |
বাক্যে বিভিন্ন ধরনের আবেগ বোঝাতে | |
বাক্যের বিবরণ সাধারণভাবে শেষ হলে | |
বাক্যের মধ্যে যখন একটু থামতে হয় |
যতিচিহ্ন বসাই
পরিচ্ছেদের শুরুতে দেওয়া অনুচ্ছেদটিতে এখন যতিচিহ্ন বসাওঃ
জানি কথাটি শুনলে তোমাদের কারো বিশ্বাস হবে না সেই লেখক একদিন বিকালে আমাদের বাড়িতে এসে হাজির তাঁর হাতে অনেকগুলো নতুন বই আমি অবাক হয়ে বললাম আপনি কি আমাদের বাড়িতে এসেছেন। তিনি আমার কথার জবাবে ছোটো করে বললেন হ্যাঁ আমি অনেকক্ষন কোনো কথা বলতে পারছিলাম না শুধু তাঁর হাতের বইগুলোর দিকে তাকিয়ে ছিলাম একসময়ে বললাম কিন্তু কেন তা কি জানতে পারি তিনি বললেন। বারে তুমি বই পড়তে ভালোবাসো তাই বই নিয়ে এসেছি
যতিচিহ্ন ব্যবহার করে অনুচ্ছেদ লিখি
একটি অনুচ্ছেদ লেখো যেখানে বিভিন্ন রকম যতিচিহ্নের ব্যবহার আছে।
নিচের বাক্যগুলো পড়ো এবং বাকাগুলোতে সাধারণভাবে কী অর্থ প্রকাশ পাচ্ছে তার উল্লেখ করো।
১. আমি বাজারে যাচ্ছি।______________
২. তুমি কোথায় যাচ্ছ?____________
৩. তুমি বাজারে যাও।_____________
৪. ওরে বাবা! কত বড়ো বাজার।___________
বিভিন্ন ধরনের বাক্য
যে কোনো বাকাই কোনো না কোনো অর্থ প্রকাশ করে। বেশিরভাগ বাক্যে সাধারণভাবে কোনো বিবরণ দেওয়া হয়। এছাড়া কোনো কোনো বাক্য দিয়ে আমরা প্রশ্ন বোঝাই, কোনো কোনো বাক্য দিয়ে আদেশ অনুরোধ বোঝাই এবং কোনো কোনো বাক্যের মধ্য দিয়ে আমাদের বিস্ময় প্রকাশ পায়।
বক্তব্যের লক্ষ্য অনুযায়ী বাকাকে চার ভাগে ভাগ করা যায়।
১. বিবৃতিবাচক বাক্যঃ সাধারণভাবে কোনো বিবরণ প্রকাশ পায় যেসব বাক্যে, সেগুলোকে বিবৃতিবাচক বাক্য বলে। যেমন: আগামীকাল স্কুলে একজন বিশেষ অতিথি আসবেন।
২. প্রশ্নবাচক বাক্যঃ কারো কাছ থেকে কিছু জানার জন্য যেসব বাক্য বলা হয় বা লেখা হয়, সেগুলোকে প্রশ্নবাচক বাক্য বলে। যেমন: তুমি কি জানো কাল কে আসবেন স্কুলে?
৩. অনুজ্ঞাবাচক বাক্য: আদেশ, নিষেধ, অনুরোধ, প্রার্থনা ইত্যাদি বোঝাতে অনুজ্ঞাবাচক বাক্য হয়। যেমন: তোমরা সবাই কাল স্কুলে উপস্থিত থাকার চেষ্টা কোরো।
৪. আবেগৰাচক বাক্য: কোনো কিছু দেখে বা শুনে অবাক হয়ে যে ধরনের বাক্য তৈরি হয়, সেগুলোকে আবেগবাচক বাক্য বলে। যেমন: দারুণ। তুমি সময়মতো আসতে পেরেছ।
বিভিন্ন ধরনের বাক্য খুঁজি
'সুখী মানুষ' নাটকটি থেকে চার ধরনের বাক্য খুঁজে বের করো।
১. বিবৃতিবাচক বাক্যঃ _________________
২. প্রশ্নবাচক বাক্যঃ ___________________
৩.অনুজ্ঞাবাচক বাক্যঃ _________________
৪. আবেগবাচক বাক্যঃ__________________
অনুচ্ছেদ লিখি
বিবৃতিবাচক, প্রশ্নবাচক, অনুজ্ঞাবাচক ও আবেগবাচক এই চার ধরনের বাক্য ব্যবহার করে একটি অনুচ্ছেদ লেখো।